দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সচেতন নাগরিকদের তোপের মুখে স্থগিত হওয়া গরু বিতরণ কার্যক্রম দীর্ঘ এক মাস পর সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়েছে।
৭ মে(বুধবার)উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে ৭০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীর মধ্যে বকনা(বাছুর গরু)বিতরণ করা হয়।
বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, মেজর শেখ আরমান ইবনে ইদ্রিস, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো.সারোয়ার হাসান,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম খন্দকার মুহিব্বুল,উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত)মাওলানা নবীউল ইসলাম ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম সহ প্রমুখ।
এর পূর্বে গত ১০ এপ্রিল গরু বিতরণকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক টেন্ডার মাফিক গরু সরবরাহ না করায় সচেতন নাগরিকদের প্রতিবাদের মুখে গরু বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।অবশেষে শর্তপূরণ করে হৃষ্টপুষ্ট বকনা সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল।
জানা যায়,গত ১০ এপ্রিল সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৭০ জন সুফলভোগীর মধ্যে গরু বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।টেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি গরুর ওজন ১০০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও গড়ে প্রতিটি গরুর ওজন ৬৫-৭০ কেজি পাওয়া যায়।
টেন্ডার অনুযায়ী গরুর ওজন ও বয়স ঠিক না থাকায় স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের তোপের মুখে ইউএনও ইসাহাক আলী বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।পরে গরুগুলো ফেরত নিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. সারোয়ার হাসান বলেন,পূর্বের গরুগুলোর ওজন কম থাকায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিতরণ স্থগিত করা হয়েছিল।এবার বিতরণের পূর্বে গরুগুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়েছে।সর্বনিম্ন ৯০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত গরু বাছাই করা হয়েছে।৭টি ইউনিয়নের সুফলভোগীর মধ্যে গরুর সঙ্গে সুষম খাদ্য ও ফ্লোর ম্যাট বিতরণ করা হয়েছে।পরবর্তীতে প্রত্যেক সুফল ভোগী কে চারটি করে টিন এবং খুঁটি দেয়া হবে।