ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার পাশাপাশি সর্বাত্মক অবরোধের কারণে খাবার ও পানির মতো জরুরি পণ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের এমন অবরোধের কারণে গত ২ মার্চের পর থেকে খাবারের অভাবে অন্তত ৩২৬ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। প্রায় ১১ সপ্তাহ পর সম্প্রতি খাদ্যপণ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নেতানিয়াহু সরকার। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রতিদিন গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে তারা, যদিও দিনে উপত্যকাটিতে ৫০০ ট্রাক ত্রাণের প্রয়োজন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার একদিন পরও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই খাবারগুলো যদি গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা না যায়, তাহলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামলায় গতকাল মঙ্গলবার একদিনেই ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজার চিকিৎসাকর্মীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগের ৮ দিনে উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫৩ হাজার ৬০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিতে চাপা পড়ে আছেন অনেকে। ফলে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।