সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম ক্লাবে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার জমি বিরোধের জেরে মারধরের ঘটনায় নিহত বৃদ্ধের মরদেহ তিনমাস পর কবর থেকে উত্তলন শ্রীপুরে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে দুই ঘণ্টার মাথায় ছেলের মৃত্যু শ্রীপুরে মারুফা নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ ঘাতক স্বামী মিজান পলাতক বিএনপি নেতার পিতার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিবের এর শোকবার্তা বিএনপির শক্তি এ দেশের জনতা-ডাঃ বাচ্চু সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিএমপি’র বাকলিয়া থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি গ্রেফতার কালিয়াকৈরে কালের কন্ঠ মাল্টিমিডিয়ার বর্ষপুর্তি উদযাপন কালিয়াকৈরে ওয়ার্কশপ মালিক কল্যাণ সমিতির নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

খানসামায় শিক্ষার্থীদের কে নকলে সহায়তা করছেন শিক্ষকরা!

Reporter Name / ৫৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ন

 

লিমন হায়দারঃ–দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম মূল্যায়ন পরীক্ষায় সহকারী শিক্ষকদের ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।এতে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিডিও চিত্র ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক,সচেতন মহল ও তরুণ সমাজ।

১২ই মে (সোমবার)দুপুরে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে দেখা যায়,গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলছে।কক্ষগুলোতে সহকারী শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে বোর্ডে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর লিখে দিচ্ছেন।শিক্ষার্থীরা সেগুলো দেখে-দেখে উত্তরপত্রে লিখছেন।

বিদ্যালয়গুলো হল-উত্তর টংগুয়া দাতাকর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাদার পীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধ্য জাহাঙ্গীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তেবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবর্ণখুলি ওকরাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবর্ণখুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর ভেড়ভেড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, “শিক্ষকরা যদি নিজেরাই পরীক্ষার উত্তর লিখে দেন, তাহলে শিশুদের শেখার সুযোগ কোথায়?এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ সংকেত।”

এ বিষয়ে সুবর্ণখুলি ওকরাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুনা বেগম বলেন,”আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না,এ দায় আমার না।”তাহলে প্রশ্ন হলঃ এর দায় কার?

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির তালুকদার বলেন,”বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি আরও জানান,শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা হবে।”

শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মতে,শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই যদি এমন অনিয়ম চলতে থাকে,তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিকতা ও মেধা দুটোই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category