গাজীপুরের শ্রীপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশেদুল নামে এক কারখানা শ্রমিককে কুপিয়ে হাতের রগ কেটে দিয়েছে স্থানীয় জহিরুল ইসলাম ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বৈরাগীরচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাশেদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
জহিরুল ইসলাম বৈরাগীরচালা এলাকার মৃত দেলু মিয়ার ছেলে।
এবিষয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো, মৃত দেলু মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম(৪৮) ও তার স্ত্রী মোছা: কাজল আক্তার৪০),মাষ্টার বাড়ি লিচু বাগান এলাকার মোঃ জুবায়েদ(২৬) ও মৃত দেলু মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার(৫০)।
থানায় দেয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানাযায়, বৈরাগীর চালা এলাকার মোঃ জালাল উদ্দিনের সাথে একই এলাকার জহিরুল ইসলামের দীর্ঘদিন পূর্ব থেকে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া বিরোধ ছিল।এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিতে জমে থকা পানি ছাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে তর্ক বির্তক হয় এক পর্যায়ে জহিরুল ইসলাম রাশেদুলকে দাড়ালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হাতের রগ কেটে দেয়। পরে রাশেদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।বর্তমানে সে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী রাশিদুল ইসলামের ইসলামের মা আসমা খাতুন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন আমাদেরকে প্রকাশ্যে ও মুঠোফোনে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে। একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার স্বামীর মুঠোফোনে কল করে বলে মামলা তুলে না নিলে আমাদেরকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করবে , আমাদেরকে বাড়িতে থাকতে দিবেনা।কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই আমাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই সুজন কুমার পন্ডিত আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে ।বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত পায়া ভেঙে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। বর্তমানে আমারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই সুজন কুমার পন্ডিত বলন,আমি ট্রিপল নাইনের ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। মামলার বাদি পক্ষকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি ফোন কেটে দেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আ : বারিক বলেন, মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া কোন পুলিশ অফিসার যদি বিনা কারনে কারো সাথে খারাপ আচরণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।