শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কালিয়াকৈরে বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর সেলিব্রেশন  কালিয়াকৈরে অগ্নীকান্ডে তুলার গোডাউন ভস্মীভূত  কালিয়াকৈরে লন্ডভন্ড জাতীয় ফল মেলা  কালিয়াকৈরে জাতীয় ফলমেলার উদ্বোধন  কালিয়াকৈরে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরন কালিয়াকৈরে জাতীয় ফলমেলার উদ্বোধন  কালিয়াকৈরে বিএনপির নেতার বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে ত্যাগী কর্মীদের বাদ দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা শ্রীপুরে কারখানা ভাংচুরে ক্ষতি ২কোটি টাকার, মামলায় আসামী-৬৮জন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবকের হাতের রগ কর্তন নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

বালু দস্যুদের থাবায় অস্তিত্ব সংকটে নদী! নিরব প্রশাসন!

Reporter Name / ৪৭ Time View
Update : সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৫:২৫ পূর্বাহ্ন

বালু দস্যুদের থাবায় অস্তিত্ব সংকটে নদী!
নিরব প্রশাসন!

চিরিরবন্দরের কাঁকড়া নদী থেকে ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন

দিনাজপুর থেকে লিমন হায়দারঃ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের কাকড়া নদীর করলা বাড়ি ঘাট এলাকায় অবৈধ পয়েন্ট সৃষ্টি করে নদীর তলদেশ থেকে ভেকুর সাহায্যে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু দস্যুরা দীর্ঘ এক মাস যাবত বালু উত্তোলন করছে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১০মে(শনিবার)বেলা ১২টায় সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।তাদের ভাবখানা এমন,যেন দেখার কেউ নেই।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এই অবৈধ বালুর পয়েন্টের অন্যতম একজন কর্ণধার ইউপি সদস্য আশিকুল জানান,এই পয়েন্টের সঙ্গে চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতির ছেলে নুর আলম,৭নং ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম শাহ সহ ৭ থেকে ৮ জন আমরা জড়িত।এখানে ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।পয়েন্টটি এখন অবৈধ হলেও অল্প সময়ের মধ্যে এর বৈধতা পাবে।এসময় তিনি সংবাদ কর্মীদের নিউজ না করবার জন্য ম্যানেজ করবার চেষ্টা করেন।

এছাড়াও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে,৭নং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি উজির শাহ ও একই ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন এই অবৈধ বালু মহালের নেপথ্যের কুশীলব।

বিষয়টি তৎক্ষণাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবগত করলে তিনি বলেন,সেখানে কোন বৈধ্য বালুর পয়েন্ট নেই।যারা এই অবৈধ কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংবাদ কর্মীদের তিনি আশ্বস্ত করেন।

পরবর্তীতে গতকাল শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান,সেখানে নদীর তলদেশে একটি ভেকু জব্দ করা হয়েছে।পরবর্তীতে যাতে এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করতে না পারে সেজন্য সেখানে পাহারায় রাখা হয়েছে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের কে।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর অভ্যন্তরে তৈরি হয় বড়-বড় খাদ।বর্ষাকালে নদীঘাট এলাকায় বালু উত্তোলনের ফলে গর্তগুলো বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।পরবর্তীতে সেইসব গর্তে ডুবেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে।শুধু কি তাই!নদী থেকে অবৈধভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের কারণে নদীর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলনের কারণে নদীর তলদেশ ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে।এর ফলে নদীর নাব্যতা কমছে ও নদীর তীর ধসে যাচ্ছে।অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে সরকার বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নিলেও বেশিরভাগ জায়গায় প্রশাসন একেবারেই নীরব।

অবৈধ বালু তোলার পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী চক্র।এই চক্রের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারা।তারা অবৈধ বালু তোলার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে,বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান,চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না।এ ছাড়া সেতু,কালভার্ট,ড্যাম,ব্যারাজ,বাঁধ,সড়ক,মহাসড়ক,বন,রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category