গাজীপুরের শ্রীপুরে থুতু ফেলার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চবিদ্যালয়ে চার দফা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দুপুর দেড়টার দিকে সংবদ্ধ বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।এ সময় অন্তত্য দশ ছাত্র আহত হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে কথাবলে জানাযায়, দুপুর দেড়টার দিকে দশম শ্রেণীর দুই ছাত্র নবম শ্রেণীর ছাত্র রিফাতকে থুতু ফেলার জন্য দায়ীকরে। এ সময় দশম শ্রেণীর ছাত্ররা রিফাত ও তার বন্ধু ইয়াসিনকে মারধর করে। খবরপেয়ে রিফাতের বাবা বিল্লাল বিদ্যালয়ে এসে ছাত্রদের মারধর শুরু করেন।
এসময় অন্য ছাত্রররা ক্ষিপ্তহয়ে বিল্লাল ও তার লোকদের মারপিট করে। বিল্লালের লোকজন জড়ো হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ফের হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ব্যাপক ভাংচুর করে। মারপিটে আহত হয় অন্বিতত্য দশ ছাত্র। বিদ্যালয়ের ছত্র শিক্ষকগন বিল্লালকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ বিল্লালকে আটক করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিদ্যালয়ে বিরতি চলছিলো। ছাত্র শিক্ষকদের অনেকে নামাজে ছিলেন। এ সময় দু’শ্রণীর ছাত্রদের মাঝে মারামারি হয়। খবর পেয়ে রিফাতের বাবা বিল্লাল বিদ্যালয়ে এসে আমাদের কিছু না জানিয়ে নিজেই ছাত্রদের মারধর শুরু করেন।
এ সময় ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লাল ও তার লোকদের উপর হামলাকরে। পরে বিল্লালের লোকজন ফের জড়ো হয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে বিদ্যালয়ের দরজা,জানালা,গ্রিল,মাইক সহ বিভিন্ন আসবাপত্র ভাংচুর করে। আহত হয় অন্তত্য দশ ছাত্র। ছাত্র শিক্ষকগন বিল্লালকে একটি কক্ষে নিরা আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ বিল্লালকে আটক করে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি( প্রস্তাবিত) মো. কামরুজ্জামান মন্ডল জানান, বিল্লাল বহিরাগত লোক ও ছাত্রদের নিয়ে স্কুলে হামলা ভাংচুর করেছে। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন গতব্যবস্থা নিব।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান,বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।