নিয়তের ছোট ভাই আজিজুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে আমার ভাই লিটন ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় সড়কের পাশে অটোরিশকা দাড় করে দোকানের চা পান করছিলেন। এমন সময় তাকওয়া পরিবহন অটোরিশকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটো রিশকার লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এ নিয়ে তাকওয়া পরিবহন শ্রমিকদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আমার ভাই লিটনকে মারধর করে তাকওয়া পরিবহনে তুলে নিয়ে যায়। পরে হাত পায়ের রগ কেটে তাকে হত্যা করে নতুন বাজার এলাকায় ফেলে যায়।
আন্দোলনকারীদের দাবি এই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার সহ মহাসড়ক থেকে তাকওয়া পরিবহন বন্ধ করে দিতে হবে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বিপিএম বলেন, অটোচালক হত্যার ঘটনায় সকাল পৌনে আটটা থেকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় জনতা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক থেকে তুলে নিতে হয় চেষ্টা করা হয়।পরে দুপুর ১২ টার দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এই ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে এবং তাকওয়া পরিবহনের চালক জনি কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।