মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কালিয়াকৈরে দলিল না করে চলে গেলেন সাব রেজিস্টার তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে   কালিয়াকৈর  পৌর বিএনপির  লিফলেট বিতরণ   নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত লোডশেডিং হবে, তবে তা সহনীয় রাখার চেষ্টা করা হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত রিয়া মনির কারনে ভেঙে গেলো তিনটি সংসার হিরো আলম চট্টগ্রাম উওর জেলার আওতাধীন সমূহে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বি এন পি সংবাদ সম্মেলন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাস্তা পারাপারের সময় পথচারী নিহত  জিডিইউ-তে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত  ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ

৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন

Reporter Name / ৩৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় সাত বছরের দণ্ড থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

 

 

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।

 

এর আগে ১০ ডিসেম্বর এ মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমিত দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়।

পরে মামুন আপিল করেন। গত মঙ্গলবার এ আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

 

 

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জশিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামে ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category