গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি চার তলার অনুমোদনহীন ভবন হেলে পড়েছে পাশের আরেক ৪ তলা ভবনের উপর। এতে যেকোন সময় অনুমোদনহীন ওই ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে ভবনে বসবাসকারী লোকজনসহ পথচারীরা। বিষয়টি অনুমোদনহীন ভবন মালিককে বার বার জানালেও তিনি কোন কর্ণপাত করছেনা। পৌরসভার বহুতল ভবন নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কালিয়াকৈর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার সফিপুর মৌজার ৪২১ নং খতিয়ানে ৫৬৩ নং দাগে ৫ শতাংশ জমির উপর দুইতলা একটি ভবন নির্মান করা হয়। ভবনের নাম দেওয়া হয় মা মঞ্জিল। পরে ওই ভবনটি ২০১০ সালে ক্রয় করেন টাঙ্গাইলের জৈনক রাশেদ। পরে তিনি ওই দুই তলা ভবনের উপর পৌরসভার অনুমোদন না নিয়েই প্লান ছাড়াই আরো দুই তলা বাড়ানো হয়। প্লান ছাড়া অনুমোদন না নিয়ে দুই তলা ভবনের উপর আরো দুই তলা করায় ঝুকিপুর্ন হয়ে উঠে। গত কয়েকমাস আগে ওই ভবনটির উপরের দিক দিয়ে হেলে পড়েছে পাশের বাবুল সরকারের ৪তলা ভবনের উপর। বিষয়টি বাবুল সরকার ওই ভবনের মালিককে বার বার জানালেও তিনি কোন কর্ণপাত করছেন না। ভবনটি যেকোন সময় ধ্বসে পাশের ভবনের উপর বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। এতে পাশের ভবনে বসবাস কারী লোকজন ও পথচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে পাশের ভবনের বাবুল সরকার বলেন, ২০১০ সালে মা মঞ্জিল নামের দুইতলা ভবন ক্রয় করেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের রাশেদ। পরবর্তিতে তিনি ওই দুই তলা ভবনের উপর অনুমোদন না দিয়ে আরো দুই তলা বাড়ায়। এতে কয়েক বছর পর ভবনটি আমার ভবনের উপর হেলে পড়েছে। যেকোন সময় পুড়ো ভবন আমার ভবনের উপর পড়ে যেতে পারে। বিষয়টি ভবন মালিককে বার বার জানালেও তিনি কোন কর্নপাত করছেনা। বিষয়টি পৌর কৃতপক্ষকে জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে মা মঞ্জিলের মালিক রাশেদ বলেন, আমি দুই তলা ভবন ক্রয় করি স্থানীয় বাবুল সরকারের কাছ থেকে। এর পর পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে ওই দুইতলার উপর আরো দুই তলা ভবন বানানো হয়। আমার ভবনটি ঝুকিপুর্ন নয় । উপরে গিয়ে পাশের ভবনের সাথে মিশে গেছে। তা আমি কেটে দিয়েছি।
কালিয়াকৈর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার বলেন, পৌরসভার ৯নং ওয়াডের্র সফিপুর এলাকায় মা মঞ্জিল নামে কোন ভবনের অনুমোদন নেই।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক কাউসার আহাম্মেদ বলেন, বহুতল ভবনের অনুমোদন না থাকলে তা অপসারনের জন্য মালিককে নোটিশ করা হবে তা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য। না সড়ালে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।