বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ছিলো এক স্কুল ছাত্রী। খবর পেয়ে পালিয়ে যায় পেমিক আতিক। ও বাড়িতে ছাত্রী কে শুনতে হয় পেমিকের বাবা তাইজুদ্দিনের অশ্লিল আপত্তিকর কথা। উচ্চস্বরে তাইজুদ্দিন বলেন, “মেয়ে আইছে সমস্যা নেই। আবেগ বান্দার আবেগ নষ্ট করতে নাই।আশেখ হয়ে আসলে আপত্তি রাখতে হয়। ছেলে বলছে বাবা আমি বিয়া করমুনা। ছেলে না করলে আমি করাম।” প্রেমিকের বাবার এমন উন্মাদ মন্তব্য উপস্থিত সকলকে হতবাক করে। গভীর রাত পর্যন্ত ওই ছাত্রী আতিকুলের বাড়ির আঙ্গীনায় অপেক্ষা করলেও ঠাইঁ মেলেনি বাড়িতে। প্রেমিকের বাড়িতে ঠাঁই নাপেয়ে ওই ছাত্রী চলেযান নিজ বাড়ীতে। রবিবার দুপুরে সে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্বজনরা তাকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপপাাতালে পাঠানো হয়। ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে উপজেলার কাওরাইত ইউনিয়নের যোগীরছিট গ্রামের বাংলাবাজার এলাকাায়। অভিযুক্ত প্রেমিক মো. আতিকুল ইসলাম (২২) ওই গ্রামের মো. তাইজুদ্দিনের ছেলে। সন্ধ্যা সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই ছাত্রী প্রেমিক আতিকুলের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করে। খবরপেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে জড়ো হয়। স্থানীয়রা গভীর রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও কোন সমাধান করতে পারেনি। আতিকুলের বাবা প্রকাশ্যে বলেন,“ মেয়ে আইছে সমস্যা নেই। আবেগ বান্দার আবেগ নষ্ট করতে নাই।আশেখ হয়ে আসলে আপত্তি রাখতে হয়। ছেলে বলছে বাবা আমি বিয়া করমুনা। ছেলে না করলে আমি করাম।” প্রকাশ্যে প্রেমিকের বাবার এমন উদভট উক্তি শুনে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দিন ভর রোজারেখে ইফতার না করে বিয়ের দাবীতে ওই ছাত্রী গভীর রাত পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়ির আঙ্গীনায় অপেক্ষ করে। এতে তার ঠাঁই হয়নে প্রেমিকের বাড়িতে।
ওই ছাত্রী জানায়, এক বছর পূর্বে আতিকুলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আতিক তাকে বিয়ে করার আস্বাস দিয়ে একাধিক বার বিভিন্ন রিসোর্টে নিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে আতিকের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। বিত্তবান আতিকের বাবা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে। শনিবার বিকেলে আতিক ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। সে আস্বাসে ওই ছাত্রী শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টারদিকে আতিকের বাড়িতে যায়। এ সময় আতিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও সে আতিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। বিয়ের দাবীতে সে আতিকের বাড়িতে এসেছে। তাকে বিয়ে করা ছাড়া অন্য উপায় নেই।
ছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ের সাথে আতিকের সম্পর্ক ছিলো। শনিবার সন্ধ্যা থেকে সে ওই বাড়িতে অবস্থান করে। এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে বাড়িতে আসে। তার পরথেকে সে আতিকের বাবার অশুভন আচরণ, আতিকের প্রতারণা, এলাকায় জানাজানির অপমান সহ্যকরতে না পেরে অস্বস্তিতে ছিলো। এক পর্যায়ে রবিার দুপুর দুইটার দিকে সকলের অগোচরে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টাকরে। গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল করেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। মেয়ের চিকিৎসা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাসরিন সুলতানা জানান, বিষপানে অসুস্থ্য ওই রোগী বিকেল চারটা বিশ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
শ্রীপুর থানা পরিদর্শক(ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।