জুলাই অভ্যুত্থানে নাশকতার পরিকল্পনাকারী ও ১৮ ই জুলাই সাভারের পাকিজায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় নিরিহ ছাত্রছাত্রীদের উপর আতর্কিত আক্রমণ ও হতাহত করার মূল হোতা ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিন ও তার দুই ছেলে নীরব, নিশাত উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
সাভারে ছাত্র জনতার উপর আক্রমন ও হত্যার অন্যতম সহায়তাকারী আওয়ামীলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন খান ওরফে ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিন গ্রেফতার হয়েছে গত ২০ ই ফেব্রুয়ারী রাত ২ টায়। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এ যৌথ বাহিনীর সহায়তায় সাভারের রাজাশনের পলুর মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আওয়ামীলীগের সক্রিয় এই নেতার এলাকায় চাঁদাবাজি , মাদক বিক্রি ও লুটপাতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। আলাউদ্দিন তার খ্রিস্টান স্ত্রী রিনাকে দিয়ে এলাকায় মদ, গাঁজার সাপ্লাই করাতো। যার কথা এলাকার বহুলোক জানে, গাঁজা বিক্রির সুবিধার জন্য তার খ্রিস্টান স্ত্রী মুসলিম নারীদের সম্মানিত পোশাক বোরখার ব্যবহার করত। তার দুই ছেলে নীরব ও নিশাত এলাকায় যুব সমাজকে মাদক গ্রহনে উৎসাহিত করতো। চাঁদাবাজি আর মাদক বিক্রয়ে আলাউদ্দিনের ছিলো বিশাল জাল। তার দুই ছেলে নীরব ও নিশাত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর ছিল। শুধু তাই নয় নিরব ছিলো সাভার কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় বেশ সক্রিয় । এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিন রাজাশন এলাকায় তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেড়াতো। এই ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিন এমন কোনো অপকর্মে নেই যা করেনি। রাজাশন এলাকায় কোনো জমির মালিক বাড়ি নির্মান করতে চাইলে ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিন জমি পরিদর্শন করে এসে পাঁচ লাখ থেকে বিশ লাখ পর্যন্ত চাঁদা নির্ধারন করতো জমি ও ভবনের আয়তন বুঝে। চাঁদা না পেলে মালিকের উপর নেমে আসতো পাশবিক নির্যাতন। সর্বশেষ অক্টোবরের ০৪ তারিখে ইলু মার্কেটে একটি প্রবাসীর জমিতে চাঁদা চাইতে গিয়ে চাঁদা না পেয়ে আলাউদ্দিন ও তার দুই ছেলে নীরব, নিশাত ও তাদের অর্পকর্মের অন্যতম সহযোগী সাগর সহ প্রায় ১৫-২০ জন হামলাকারী ঘটনাস্থলে নির্মান শ্রমিকদের পিটিয়ে মারাত্মকভাবে হতাহত করে। এরমধ্যে এক শ্রমিক আজীবনের মত পঙ্গু হয়ে যায়, ঘটনাস্থলে একজন সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মারাত্মকভাবে জখম হয়। ইতিপূর্বে ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিন মাদক সহ র্যাবের হাতে ধরা পড়লে ২৪ দিন জেল খেটে বের হয়। ফেরেঙ্গী আলাউদ্দিনের নামে অসখ্য মামলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর খোলস পাল্টে নিজেকে বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে পুনরায় গুম, খুন, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রি শুরু করে। কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ায় রাজাশনের এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি নেমে এসেছে। পলুর মার্কেটের জনগন আলাউদ্দিন ও তার দুই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।