ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে নিতে হবে। কারণ নির্বাচন দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছে যেন গণতন্ত্র উত্তরণের এই যাত্রাপথ- এটাকে যেন আরো বেশি দীর্ঘায়িত করা যায়, সে জন্য কিছু কূটকৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৎপরতা প্রসঙ্গে তিসি বলেন, যদিও ইনিয়ে-বিনিয়ে তাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত হয়েছি যে তারা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তাদের সব কর্মকাণ্ড সাজাচ্ছেন। কিন্তু সেই কর্মকাণ্ডগুলো প্রকাশিত নয়। সেই উদ্যোগগুলো জনসমক্ষে প্রকাশিত ও দৃশ্যমান হতে হবে যে আমরা আসলেই সেদিকে (নির্বাচনের) দিকে যাচ্ছি কি না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন যত দীর্ঘায়িত হবে, গণতন্ত্র উন্নয়নের যাত্রাপথটা তত দীর্ঘায়িত হবে এবং অস্থিরতা বাড়বে। এতে বিভিন্ন রকম অস্থির অবস্থার সৃষ্টির সুযোগ নেবে স্বৈরাচার ও তার দোসররা। সেই সময়টা যাতে দীর্ঘায়িত না হয়, সেটিই হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব প্রস্তাব নির্বাচনের জন্য আমাদের আগে বাস্তবায়ন করা দরকার, সেটার ওপর একটা জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হবে এবং সেটা আমরা আগে বাস্তবায়ন করব। সরকার একই সঙ্গে যেন নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রোডম্যাপ প্রদান করে।